Posts

Showing posts from September 9, 2012

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার গোড়াপত্তনের ইতিহাস এবং একটি ধর্মের সম্ভাব্য বিবর্তন

Image
অন্যান্য জীব জগতের মত মানুষের ইতিহাসও প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস। আদিম অরণ্যচারী মানুষ অসহায় বোধ করত শক্তিশালী ঝড় বা দাবানলের কাছে, অন্ধকারের কাছে, আতাতায়ী হিংস্র জন্তুর কাছ, মৃত্য কছে, ক্ষুধার কাছে। যখন তারা দেখত তাদের শক্তি ক্ষমতা সীমিত তারা ভয় পেত। বিশ্বাস করতে চাইত এমন এক শক্তিকে যে তাদের রক্ষা করবে। অসহায়ত্ত্ব থেকে তাদের মধ্যে আসে ভক্তি বোধ। একদল বিশ্বাস করতে চাইত এমন এক শক্তির যা তাদের এসব অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করবে। আরেক দল বিশ্বাস করতে চাইত সেইসব অশুভ শক্তিকে খুশি করে নিস্তার পাওয়ার। শুরু হয় শুভ এবং অশুভ শক্তির উপাসনা। মানুষের সেই বিশ্বাস সেই সীমাবদ্ধতাই ধর্মের আকারে কালে কালে বিবর্তিত হয়ে বর্তমান ধর্ম পর্যন্ত চলে এসেছে। এর সবই একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার কথা-৪

Image
ফার্মিয়ান কণাদের সাথে মনে হয় প্রাথমিক পরিচয়টা আমাদের হয়েছে , আপনারা কি বলেন ? তবে এটা সত্যি যে যৌগিক ফার্মিয়ান কণাদের( বেরিয়নদের ) সম্পর্কে খূব বেশি কিছু বলা হয়নি , পরে বলার ইচ্ছা আছে । তার আগে বোসনদের সাথে প্রাথমিক পরিচয়ের পালাটা শেষ করি । আচ্ছা আপনাদের অবশ্যই মনে মনে প্রশ্ন আসছে এদের বোসন বলা হয় কেন ? উত্তর তো আপনারা জানেন (বোস-আইনস্টাইন সংখ্যায়ন মেনে চলে) । তবে কি এটা জানেন এই বোস যে একজন বাঙালী বিজ্ঞানী ? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বসু হচ্ছেন সেই মহান বিজ্ঞানী আর তাঁর নামানুসারেই এই কণাদের নাম বোসন বলা হয় । এই মহান বিজ্ঞানী সম্পর্কে কিছু না বললেই নয় ।

পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার কথা-৩

Image
আমার আগের পোস্টে ফার্মিয়ান কণাদের (কোয়ার্ক এবং লেপ্টোন) কথা বলেছিলাম এদের সবারই স্পিন সংখ্যা কিন্তু ১/২ , তাহলে নিশ্চয়ই প্রশ্ন আসবে ‘অড হাফ ইন্টিজার (১/২)স্পিনযুক্ত কণার ’কথা বলার দরকার ছিল কি ? শুধু ‘হাফ ইন্টিজার’ বললেই হতো । আসলে আরেক অর্থে ফার্মিয়ান কণারা দুই রকম । • মৌলিক ফার্মিয়ান কণা এবং • যৌগিক ফার্মিয়ান কণা । আর এই যৌগিক ফার্মিয়ান কণাদের জন্যই শুধু ‘হাফ ইন্টিজার’ না বলে ‘অড হাফ ইন্টিজার (১/২) স্পিনযুক্ত কণা ১/২ , ৩/২ ....) বলতে হচ্ছে । এই পর্যন্ত যত গুলো ফার্মিয়ান কণাদের সাথে পরিচয় হয়েছে এরা সবাই মৌলিক ফার্মিয়ান কণা ।  তাহলে যৌগিক ফার্মিয়ান কণা কি ?

পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার কথা-২

Image
পূর্বের পোস্টে বোসন আর ফার্মিয়ান কণার কথা বলেছিলাম আজ ফার্মিয়ান কণাদের দিয়েই শুরু করি । এই কণা গুলোকে বলা হয় ‘বস্তু কণা’ অর্থাৎ আমরা আমাদের চারপাশে যাই দেখি সবই এই ফার্মিয়ান কণা দিয়ে গঠিত (তবে ফার্মিয়ান কণার মধ্যে যে বল আছে তা কিন্তু বোসন কণার জন্য সৃষ্টি) , এরা অড হাফ ইন্টিজার ১/২ স্পিনযুক্ত কণা অর্থাৎ ১/২ ,৩/২ ,৫/২ ... ইত্যাদি । এই কণাগুলো পদার্থবিদ ওলফ্ গ্যাংগ পাউলির বর্জন নীতি (পরমাণুর দু’টি বা তার বেশি সমতুল্য ইলেক্ট্রন থাকতে পারে না যার কোয়ান্টাম সংখ্যা গুলোর মান একই ) মেনে চলে । এই নীতি অনুযায়ী দুইটি অনুরুপ কণা একই অবস্থায় (state) থাকতে পারে না । অর্থাৎ অনিশ্চয়তার নীতির সীমার মধ্যে তাদের একই অবস্থান এবং একই বেগ থাকা সম্ভব নয় । এই নীতিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ব্যাখ্যা করে , কেন বল কণার (বোসন কণাদের বল কণা বলা হয় ) প্রভাব বস্তু কণা গুলি কোন একটি উচ্চ ঘনত্ব বিশিষ্ট অবস্থায় বিরাজ করে না ।

পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণার কথা-১

Image
পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা কি ? এই প্রশ্নটি একজন সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞেস করা হলে ,তার উত্তরটি হবে ইলেক্ট্রন,প্রোটন ও নিউট্রন হচ্ছে পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা । আর যারা একটু-আধতু পদার্থ বিজ্ঞানের খবর রাখে তারা হয়তো বলেই দিবে পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা হচ্ছে কোয়ার্ক, লেপ্টোন ইত্যাদি । তারমানে দাড়াচ্ছে আমি যা নিয়ে লিখতে যাচ্ছি তা কম-বেশি সবার জানা ,তারপরেও লিখছি যদি কারো অজানা থাকে । পদার্থের এই ক্ষুদ্রতম কণা সম্পর্কে মানুষ আগে জানতো না । ১৮০৩ সালের আগে মানুষ জানতো আমাদের বিশ্বব্রাহ্মন্ড ৪ টি মৌলিক বস্তু দিয়ে গঠিত । চিত্র -১ : অ্যারিস্টটলের ৪ টি মৌলিক বস্তু

অ্যানোনিমাসের বিখ্যাত মুখোশ এবং ৪০০বছর পূর্বের একটি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা

Image
এমন একটা পোষ্ট দিচ্ছি, যাতে অনেকগুলো ঘটনার যোগসূত্র মেলাতে হবে এবং সময়ের ব্যপ্তিকাল ৪০০শত(১৬০৫-বর্তমান) বছর। তো, সেই ৪০০বছর পূর্বে এমন কি হয়েছিল, যার ধারা এখনো অব্যাহত?? এক্ষেত্রে আমরা অতীত থেকে শুরু না করে বরং বর্তমান থেকেই ধীরে ধীরে অতীতে ফিরে যাব। প্রথমেই আমাদের সবার পরিচিত, ব্লগে এবং ফেসবুকে অনেকের প্রোফাইল পিকচার হিসেবে ব্যবহৃত একটি মুখোশের বর্ণনা দিয়ে শুরু করছি। ইতিপূর্বে চলচিত্রে, নেটের নানা জায়গায় এই মুখোশটি চোখে পড়লেও সবার মাঝে খুব একটা সাড়া পড়েনি, একটা সুন্দর সাধারণ মুখোশ হিসেবেই ভেবে এসেছি সবাই।

প্রাচীন ইনকা সভ্যতা ও মাচু পিচু

Image
বর্তমান পেরুর কোস্কো এলাকায় সুপ্রাচীন ইনকা সভ্যতার সূচনা হয়েছিল একটি উপজাতি হিসাবে। এ অঞ্চলেই উপকথার প্রথম সাপা ইনকা মাংকো কাপাক ১২০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে কোস্কো রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে মাংকো কাপাকের উত্তরসূরীদের অধীনে আন্দেস পর্বতমালার অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীগুলোকে নিজেদের মধ্যে নিয়ে এসে এ রাজ্যটি বিস্তার লাভ করে। ১৪৪২ সালের মধ্যেই রাজা পাচকুতিকের অধীনে ইনকারা তাদের সাম্রাজ্য দূরদুরান্তে বিস্তৃত করে; পাচকুতিক নামের অর্থই হচ্ছে: পৃথিবী কাঁপানো মানুষ। তিনিই ইনকা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, যা কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের আগে দুই আমেরিকা মহাদেশের সর্ববৃহৎ সাম্রাজ্য ছিল।ইনকা সাম্রাজ্য প্রে-কলাম্বিয়ান আমেরিকাতে বৃহত্তম সাম্রাজ্য ছিল। এই সাম্রাজ্যের প্রাশাসনিক, রাজনৈতিক এবং সামরিক কেন্দ্র ছিল কোস্কো শহর। পেরুর পাহাড়ি এলাকায় ১৩০০ শতকের দিকে ইনকা সভ্যতার সূচনা হয়।