প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার গোড়াপত্তনের ইতিহাস এবং একটি ধর্মের সম্ভাব্য বিবর্তন
অন্যান্য জীব জগতের মত মানুষের ইতিহাসও প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস। আদিম অরণ্যচারী মানুষ অসহায় বোধ করত শক্তিশালী ঝড় বা দাবানলের কাছে, অন্ধকারের কাছে, আতাতায়ী হিংস্র জন্তুর কাছ, মৃত্য কছে, ক্ষুধার কাছে। যখন তারা দেখত তাদের শক্তি ক্ষমতা সীমিত তারা ভয় পেত। বিশ্বাস করতে চাইত এমন এক শক্তিকে যে তাদের রক্ষা করবে। অসহায়ত্ত্ব থেকে তাদের মধ্যে আসে ভক্তি বোধ। একদল বিশ্বাস করতে চাইত এমন এক শক্তির যা তাদের এসব অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করবে। আরেক দল বিশ্বাস করতে চাইত সেইসব অশুভ শক্তিকে খুশি করে নিস্তার পাওয়ার। শুরু হয় শুভ এবং অশুভ শক্তির উপাসনা। মানুষের সেই বিশ্বাস সেই সীমাবদ্ধতাই ধর্মের আকারে কালে কালে বিবর্তিত হয়ে বর্তমান ধর্ম পর্যন্ত চলে এসেছে। এর সবই একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।